প্রবাসী রেমিটেন্স অতিরিক্ত প্রণোদনা ২০২৩ । সোনালী ব্যাংক কি এখন ৫ % প্রণোদনা দেয়?
প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রেটের সাথে ৫% অতিরিক্ত প্রদান করা হয় – খোলা বাজারের সাথে মূলত প্রতিযোগীতা করতেই এ প্রনোদনা প্রদান করা হচ্ছে – প্রবাসী রেমিটেন্স অতিরিক্ত প্রণোদনা ২০২৩
সরকার কি ৫% প্রনোদনার ঘোষনা দিয়েছে?– হ্যাঁ। বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার আগেই ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিত। এখন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবাসীরা এখন থেকে দেশে টাকা পাঠালে ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। নতুন এই অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ দিবে ব্যাংকগুলো। হুন্ডি কমাতে এবং অবৈধ পথে টাকা পাঠানো ঠেকাতেই সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
ডলার বা অন্য যে কোন মুদ্রার খোলা বাজার দর সব সময়ই চড়া থাকে তা সেই বিক্রিই করুন বা ক্রয়ই করুন। ব্যাংক রেট থেকে অন্তর ৮-১০ টাকা পর্যন্ত কম বেশি থাকে। কম মূল্যের মুদ্রার ক্ষেত্রে যদিও খুব বেশি একটা তফাৎ থাকে না কিন্তু ডলার, দিনার, রিয়াল, পাউন্ড ইয়েন ইত্যাদি’র রেট অনেক বেশি হের ফের হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার রেট আজকের । 1 dollar = taka । Dollar rate in Bangladesh
দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীগণ অবৈধ লেনেদেনের একমাত্র কারণ হচ্ছে উর্ধ্ব রেট। ব্যাংক রেট বা আর্ন্তজাতিক বাজারের রেটের থেকে বেশি মূল্য পাওয়া যায় খোলা বাজারে। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ৫% পর্যন্ত রেমিটেন্সে প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন বাড়ছে। তবে বৃদ্ধিটা আশানুরূপ নয়।
দেশে বৈধ পথে টাকা আসলে রিজার্ভ বিল্ডআপ হবে / হুন্ডি বা অবৈধ পথে টাকা পাঠানো কমে যাবে যদি ব্যাংকগুলো সঠিক দামে মুদ্রা বিনিময় করে।
অবৈধপথে টাকা পাঠানো আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই বৈধ পথে টাকা পাঠানো নাগরিক দায়িত্ব ।
Caption: info source
প্রবাসী রেমিটেন্স এ কি ৫% প্রনোদনা দেয়? চলুন ফেসবুকের দু’ চারটি প্রতিক্রিয়া দেখি
- Al Mamun হুম,সরাসরি একাউন্টে টাকা পাঠালেও বোনাস আলাদা চলে আসে।
- Mokarram Hossain – হ্যাঁ একমাত্র সোনালী ব্যাংকই প্রথম এই এক্সট্রা আরো ২.৫% প্রণোদনা দেয়া শুরু করেছে।
- ফারহান সাদিক রিদম – সারা দেশে সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় ৫% প্রণোদনা দিচ্ছে।
- মোঃ রাছেল খাঁন- ইসলামি ব্যাংক কি দেয় ৫ % পারছেন।
- Shahin Rahman –গত দিনে অামি দিছি এটা অটো ৫%
রেমিট্যান্স কি?
রেমিটেন্স শব্দের অর্থ প্রেরণ করা। বিদেশে কর্মরত ব্যাক্তিরা নিজদেশে পরিবার বা আত্মীয় স্বজনের কাছে যে অর্থ প্রেরণ করে তাকে রেমিটেন্স বলে। আধিক বেতন, উন্নত কর্ম পরিবেশ ও উন্নত জীবনযাপনের আশায় মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায়। এসব প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স একটা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।
২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে পাঠানো রেমিট্যান্সের মোট পরিমাণ ৭৯৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আর এর মধ্যে ৬২৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার গিয়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫৯৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তবে সে বছর রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০.২ শতাংশ, যা গত বছর কমে দাঁড়ায় ৪.৯ শতাংশ। এছাড়া ছয় মাসে শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য দেশগুলো মধ্যে কাতারে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠিয়েছেন ৬৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার, ইতালি থেকে এসেছে ৬১ কোটি ৯ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, ওমান থেকে এসেছে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ কোটি মার্কিন ডলার।