সোনালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ২০২৩ । ব্যাংকে টাকা রাখলে কি ফেরত পাওয়া যাবে?

সোনালী ব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ব্যাংক – রাষ্ট্র দেউলিয়া না হলে এ ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষিত হতে পারে না – সোনালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ২০২৩

বর্তমানে খেলাপী ঋণের পরিমাণ? সোনালী ব্যাংকের ঋণখেলাপি গ্রাহক-প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকটিতে বড় অংকের খেলাপির সংখ্যা ছিল ২৭৩। এসব খেলাপি ঋণস্থিতি ছিল ১১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮টিতে এবং খেলাপি ঋণস্থিতি ছিল ১৩ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। ২০২২ সালের এপ্রিলে খেলাপির সংখ্যা ৩০৯টিতে পৌঁছায়। ঋণস্থিতি গিয়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকায়।

সোনালী পরিবার এর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদ্য সমাপ্ত ২০২২ সালে এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫০৩.০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি ব্যাংকের ঋণ ও আমানত স্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ৮৪,৬৫৭.০০ কোটি এবং ১,৪২,০২৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের অনুপাত হার বিগত বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে।

২০২৩ নিয়ে সোনালী ব্যাংকের চিন্তা কি? সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর সাফল্যের এ ধারা সর্বোত্তম গ্রাহক সেবার মাধ্যমে আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। তবে গত বছর যে সকল সূচকে আমাদের বিভিন্ন কার্যালয়/অঞ্চল/শাখা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি, সে সকল ক্ষেত্রে ২০২৩ নতুন বছরের শুরু হতে-ই নিবিড় তদারকির মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যেন আবারো আমরা আমাদের নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে পারি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস-চলতি ২০২৩ সালেও আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড তার উত্তরোত্তর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতেও শীর্ষে অবস্থান করবে।

সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত / সোনালী ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং জগতে পারফর্মমেন্সে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করেছে

সোনালী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষা কবজ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক পাশে আছে। তাই বৈশিক আর্থিক সংকটের সময় সব ব্যাংকগুলোতে আমানত তারল্য ঘাটতি আসলেও সোনালী ব্যাংক নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

Caption: Sonali Bank Reference Letter

সোনালী ব্যাংকের লাভের সাথে কি খেলাপী ঋণ হ্রাস পাচ্ছে? খেলাপি ঋণের হার ক্রমান্বয়ে কমছে

  1. ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার।
  2. ঋণস্থিতি ছিল ১৭ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।
  3. ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে ৩ লাখ ৭৬ হাজার হলেও ঋণস্থিতি কিছুটা বেড়ে ১৮ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা হয়।
  4. ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে খেলাপি ঋণস্থিতি সামান্য কমে ১৮ হাজার ৭১২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে এবং খেলাপির সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯৭ হাজার হয়েছে।
  5. ২০২০ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, ২০২১ সালে ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং
  6. এ বছরে এপ্রিল পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত তো?

অবশ্যই। কিছু পূর্বেই বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারির মাধ্যমে দেশের জনসাধারণকে কনফার্ম করেছে যে, ব্যাংক ব্যবস্থা সুরক্ষিত। দেশের দূর্নীতি কমানো গেলে ব্যাংকিং খাতে স্বস্তি ফিরে আসবে। তাছাড়া সরকার ও ব্যাংক আর্থিক স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করলে দ্রুতই দেশের আর্থিক খাত স্থিতিশীল হবে। তাছাড়া দেশের অবস্থা এমন নয় যে, দেশ দেউলিয়া হবে কিন্তু তাই ব্যাংকের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা রিপোর্ট ২০২৩ । সংকটেও গত বছর ব্যাংকগুলো কোটি কোটি টাকা আয় করেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *