ডেবিট কার্ড TAKA PAY 2023 । ন্যাশনাল কার্ড স্কিম টাকা পে কেন ব্যবহার করবেন?
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নিজস্ব ডেবিট কার্ড ছাড়বে যা গ্রাহকের ব্যয় কমাবে এবং দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে যা প্রযুক্তি উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে– আগামী মাসেই উদ্বোধন করা হবে ডেবিট কার্ড TAKA PAY 2023
ডেবিট কার্ড কি? – VISA বা Master ডেবিট কার্ড সরাসরি আপনার লেনদেন অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করে দেওয়া থাকে।আপনি VISA ডেবিট কার্ডে থাকা অর্থ যে কোন সময় এটিএম বুথ হতে তুলতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনে পে পেমেন্ট করতে পারেন। বর্তমানে কার্ড হতে অর্থ বিকাশ বা অন্য কোন একাউন্টে ট্রান্সফারও করা যায়। ভিসা বা যে কোন ডেবিট কার্ড বৈদেশিক সার্ভিস হওয়ার কারণে প্রতি বছরই কর্তৃপক্ষকে ফি গুনতে হয়।
ডেবিট কার্ড কিভাবে কাজ করে? আপনি যখনই ডেবিট কার্ড এটিএম মেশিনে ঢুকিয়ে পিন কোড দেওয়ার সময়ের মধ্যেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমেরিকান সার্ভারে হিট করে। আমেরিকান প্রযুক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকে হিট করে এবং লোকাল ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে টাকা আছে কিনা তা যাচাই করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে এটিএম মেশিনের মাধ্যমে গ্রাহক বা আপনি টাকা হাতে পান।
দেশে কত মানুষ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে? দিন দিন আর্থিক লেনদেনে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশে ডেবিট কার্ড আছে তিন কোটি ২৭ লাখ। লেনদেন হয়েছে ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ক্রেডিট কার্ডেও লেনদেনের অংকটা কম নয়। ব্যাংকগুলোর ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের সেবার বেশিরভাগই বিদেশি ভিসা, এমেক্স অথবা মার্স্টারকার্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এতে বড় অংকের অর্থ খোয়াচ্ছে বাংলাদেশ। তাই ‘টাকা পে’ নামে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই কার্ড ব্যবহার করে দেশের ভেতরে কেনাকাটা করা যাবে। আগামী ১লা নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতীয় ডেবিট কার্ডটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উদ্বোধন করা হবে।
দেশ ও ব্যাংক গ্রাহকের ব্যয় হ্রাস হবে / একটি কার্ড দিয়েই একাধিক ব্যাংক একাউন্ট হতে টাকা ডেবিট করা যাবে
ডেবিট কার্ড লোকাল বা বাংলাদেশ ব্যাংক তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হওয়ার কারণে স্বল্প খরচেই সেবা নেয়া যাবে এবং নিজস্ব গেইটওয়ে ব্যবহারের ফলে আরও দ্রুত সেবা প্রদান করা যাবে।
Caption: Bangladesh Bank
ন্যাশনাল কার্ড স্কিম ২০২৩ । জাতীয় ডেবিট কার্ডে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
- দেশের অভ্যন্তরে লেনদেন ও কেনা কাটা করা যাবে।
- যে কোন ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করা যাবে।
- একটি মাত্র কার্ড দিয়েই একাধিক একাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
- ডেবিট কার্ড ব্যবহার চার্জ কমে যাবে।
- নিজেদের ইচ্ছামত কাষ্টম সুবিধা যোগ করে লেনদেন আরও সহজ করা হবে।
- ডেবিট কার্ডের বার্ষিক চার্জ করে যাবে।
কেন জাতীয় ডেবিট কার্ড ” টাকা পে” ব্যবহার করবেন?
ডেবিট ভিসা, এমেক্স ও মাস্টার কার্ড ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর ৩.৫ কোটি ডেবিট কার্ডের জন্য ১০০ টাকা করে ফি প্রদান করলেও ৩৫০ কোটি টাকা শুধুমাত্র ডেবিট কার্ড চার্জ বাবদ দিতে হবে। মূলত ঠিক কত টাকা ভিসা বা মাস্টার ডেবিট কার্ড ব্যবহারের জন্য পে করতে হয় তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ না করলেও রিজার্ভ বা ডলারের উপর এটি বাড়তি চাপ হিসেবেই পরিগনিত হয়। তাই দেশের টাকা দেশে রাখতে জাতীয় ডেবিট কার্ড টাকা পে ব্যবহার করা উচিৎ। অদূর ভবিষ্যতে ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং কার্ড ব্যবহার আরও বাড়বে।
ATM মেশিনে টাকা জমার নিয়ম ২০২৩ । নিজ একাউন্টে ATM কার্ড ব্যবহারে টাকা জমার পদ্ধতি