ব্যাংক ঋণের সুদের হার ২০২৩ । আমানত ও ঋণের সুদের হার কি বাড়তেই থাকবে?
একটি দেশের মুদ্রানীতি দেশের সার্বিক মুদ্রাস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে- দেশে টাকার প্রবাহ কমলে টাকার মান বাড়বে-ব্যাংক ঋণের সুদের হার ২০২৩
ব্যাংক ঋণের সুদের হার কেন বৃদ্ধি করা হচ্ছে?– বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৯ তারিখ ১৯ জুন ২০২৩ এবং বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-২৭ তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ এর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারের মাধ্যমে ব্যাংক কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের বাজার ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রণয়ন করত প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরণের জন্য আপনাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এক্ষণে, মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার লক্ষ্যে ঋণের সুদের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
ব্যাংক কি তাহলে আরও লাভবান হচ্ছে? হ্যাঁ। ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে SMART এর সাথে সর্বোচ্চ ৩% এর স্থলে সর্বোচ্চ ৩.৫% মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে এবং প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে SMART এর সাথে সর্বোচ্চ ২% এর স্থলে সর্বোচ্চ ২.৫% মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। এ নির্দেশনা জারির পর হতে নতুনভাবে বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ৩(ক) ও ৩(খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত সুদহার প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংক ঋণের সুদের হার এখন কত? ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পেল। ব্যাংক তাদের মার্জিন আরও ০.৫০% বৃদ্ধি করিল। এখন মোট ১০.৭০ শতাংশ কার্যকর করা হল। ক্রমান্বয়ে ঋনের সুদের হার এবং আমানতের সুদের হার বাজার ভিত্তিক করা হবে। ঋণের সুদের হার বাড়লে ঋণ বিতরণ কমবে ফলে বাজারের মূল্যস্ফিতি বা মুদ্রাস্ফিতি হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোন ব্যাংকে লোনের সুদের হার কত ২০২৩ । বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার ২০২৩
ব্যাংকগুলো আমানতের উপর যে হারে সুদ দেয়া তার সাথে মার্জিন যোগ করে ঋণের সুদ নির্ধারণ করে থাকে।২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমানতের উপর সুদের হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.২০ শতাংশ করা হয়েছে এবং এর সাথে মার্জিন ৩.৫০% যুক্ত করে ১০.৭০% ঋণের সুদ হার প্রযোজ্য হইবে।
Caption: Bangladesh Bank
বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার কত ২০২৩ । সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
- বিশেষায়িত ব্যাংকের সুদহার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে বেসরকারি অনেক ব্যাংকে এখনো ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। ঋণের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশের নিচে সুদ নেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এছাড়াও বিদেশি হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ওয়ারি ব্যাংক, এইসএসবিসি এবং ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড। এছাড়া বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
-
মাত্র ১০ শতাংশের নিচে ঋণ দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক, বিসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
রিজার্ভের হার কি?
বাণিজ্যিক ব্যাংক তার সংগৃহীত আমানতের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রাখে। এই নির্দিষ্ট জমার হারকে রিজার্ভ হার বলা হয়। অর্থনীতিক অবস্থা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে অর্থনীতিতে অর্থ সরবারহ বৃদ্ধি করা দরকার, তখন ব্যাংক হার কমিয়ে দেয়। একটি দেশের ভাল রিজার্ভ ঐ দেশের সক্ষমতাকে নির্দেশ করে থাকে।
Pingback: হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স শরিয়াহ ঋণ ২০২৩ । বাড়ি নির্মাণে সরকারি ইসলামী ঋণ আছে কি? - BanksBD