প্রবাসীদের ব্যাংক লোন । প্রবাসীর পরিবারকে জামানত বিহীন ৩ লক্ষ টাকা ঋণ?

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার নানামুখী উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রহন করেছে-ঋণদান ছাড়াও সঞ্চয় পরিকল্পও চালু করেছে – প্রবাসীদের ব্যাংক লোন ২০২৩

প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের ঋণ দেয়া হয় কি? –বাংলাদেশী কোন নাগরিক বৈধভাবে চাকরীর উদ্দেশ্যে বিদেশে অবস্থান করলে ঐ ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল পরিবারের যে কোন সদস্য (পিতা, মাতা, স্বামী/ স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন) অথবা বিদেশ হতে প্রত্যাগমন করলে সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি বা তার উপর নির্ভরশীল পরিবারের যে কোন সদস্য (পিতা, মাতা, স্বামী/ স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন) কে ব্যাংক সহজ শর্তে জামানতবিহীন/ জামানতসহ বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ হিসাবে প্রদান করা হবে।

পরিবারকে সর্বোচ্চ কত টাকা ঋণ প্রদান করা হয়? প্রকল্প ঋণ ও চলতি পুঁজি। নগদ ঋণ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণ সীমা ৫০.০০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা। জামানতবিহীন ঋণ সর্বোচ্চ ৩.০০ (তিন) লক্ষ টাকা। ৩.০০ (তিন) লক্ষ টাকার উর্ধ্বে হতে ৫.০০ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সহজামানত গ্রহণ করতে হবে; ঋণের পরিমাণ ৫.০০ (পাঁচ) লক্ষ টাকার উর্ধ্বে হলে ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতা/ গ্যারান্টরের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি মর্টগেজমূলে ব্যাংকের অনুকূলে দায়বদ্ধ থাকবে।

প্রবাসী পরিবার ঋণের মেয়াদ কত বছর?  মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ (দশ) বছর। পুরুষ ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে ৯% এবং মহিলা ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে ৭% সরল সুদ হারে। পরিশোধসূচী হবে ঋণের ধরণ অনুযায়ী কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। এ ঋণের কোন সার্ভিস চার্জ নেই।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ/ অন্য কোন ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ না দিলেও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের পাশে সব সময়, প্রবাস ফেরত অথবা দূর্ঘটনায় পতিত হলেও সহজেই ঋণ পাওয়া যায়।

Caption: Check Info source

প্রবাসীর পরিবার ঋণ । বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ গ্রহণে যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা লাগবে

  1. প্রকল্প/ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলাকায় অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় ঋণের আবেদন করতে হবে;
  2. বিনামূল্যে সরবরাহকৃত ব্যাংকের নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন দাখিল;
  3. আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি/ পাসপোর্ট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সম্বলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;
  4. গ্যারান্টরের সদ্য তোলা ০২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি পাসপোর্ট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সম্বলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;
  5. প্রকল্পের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  6. প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণসহ প্রকল্পের ঠিকানা ও ০১ এক বছরের আয়-ব্যয় বিবরণী;
  7. প্রকল্প স্থান ভাড়া হলে ভাড়া/ লীজের চুক্তিপত্রের ফটোকপি এবং Letter of Disclaimer নিতে হবে এবং নিজস্ব হইলে মালিকানার প্রমানপত্র;
  8. প্রশিক্ষণ/ অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  9. ব্যক্তিগত/ প্রকল্পের নামে কোন সংস্থা/ এনজিও/ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণের ঘোষণাপত্র;
  10. ঋণ গ্রহীতার নিকট হতে নিজ নামীয় ০৩ (তিন)টি স্বাক্ষরিত চেকের পাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাব বিবরণী; জামানতি সম্পত্তির ফটোকপি।
  11. অভিবাসী/ দেশে প্রত্যাগত ব্যক্তির অনুরোধপত্র। প্রবাসী ব্যক্তি বিদেশে আছেন অথবা দেশে প্রত্যাগমন করেছেন তার প্রমাণপত্র।

প্রবাসে মারা গেলে পরিবার কি কোন অনুদান পায়?

কোন বাংলাদেশী বিদেশ গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে বাংলাদেশ সরকার মৃত প্রবাসীর পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করে থাকে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক বৈধভাবে বিদেশ গমনকারী মৃত কর্মীর পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। যে সকল কর্মী ছুটিতে এসে দেশে মৃত্যুবরণ করেন তাঁরাও আর্থিক অনুদানের ০৩ লক্ষ টাকা প্রাপ্য হন। অধিকন্তু ডায়াসপোরা যারা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন এবং বৈধ কাগজপত্র বিহীন কর্মী কিন্তু বৈধভাবে কর্মরত ছিলেন তারাও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে আর্থিক অনুদান পাবেন।

মৃত প্রবাসীর আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির নিয়ম ২০২৩ । লাশ পরিবহনে কত টাকা অনুদান প্রদান করা হয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *