এস এম ই লোন পাওয়ার নিয়ম ২০২৩ । নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যাংক লোন পাওয়ার সহজ উপায় কি?
নতুন ব্যবসা শুরু করা কেউ কি ব্যাংক ঋণ পায়? এমন প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে- ঋণের ক্ষেত্রে ব্যবসার উন্নতি ও নীতি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ – এস এম ই লোন পাওয়ার নিয়ম ২০২৩
নতুন উদ্যোক্তগণ কি ঋণ পায়? –ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত একটা অভিযোগ শোনা যায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ দেয় না। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এর আদেশ থাকলেও জামানত বিহীন ঋণের ব্যাপারে ব্যাংকরা খুব রক্ষণশীল। অর্থসংকটে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা গেছে। উল্টো দিকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিয়মিত আফসোস শোনা যায়, অর্থ দেয়ার মতো উপযুক্ত উদ্যোগ পাওয়া যায় না।
ব্যাংক লোন মানেই কি নতুন কিছু? ব্যাংক একটি লাভজনক ও মুনাফা প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠান। ভালো গ্রাহকের সন্ধান তারা নিজ তাগিদেই করে। বিপণনের জন্য তারা প্রচুর খরচ করে। উদ্দেশ্য একটাই ভালো এবং নতুন গ্রাহক পাওয়া। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যই হলো উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণা বিদ্যমান রয়েছে যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করে। বিষয়টি একতরফাভাবে বলা সমিচীন নয়।
উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয় তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। অনেক সময় উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞান এবং ব্যাংকের নিয়ম কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অহেতুক অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ঋণের বিস্তারিত জানতে চান? সম্প্রতি দেশের অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিল্পোদ্যোক্তা বিশেষ করে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ ও অর্থায়নের সুবিধা প্রদানের জন্য এসএমই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা চালু করেছে। অনেক ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে।
সিএমএসএমই বলতে কি বুঝায় । সোনালী ব্যাংক এস এম ই লোন । ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ
ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ কি? প্রতিটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা/ ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প দলিল তৈরীর ফরমেট রয়েছে। আপনি যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে ইচ্ছুক সে ব্যাংকের ফরমেট অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজ ও দলিল-পত্রাদি সমেত প্রকল্প ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।
ঋণদাতা ব্যাংক ২০২৩ । বাংলাদেশের বর্তমান অর্থবাজারে এসএমই খাতে অর্থায়নে যে সমস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএমই ব্যাংকিং শুরু করেছে
- (১) ব্র্যাক ব্যাংক
- (২) বেসিক ব্যাংক
- (৩) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
- (৪) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- (৫) প্রাইম ব্যাংক লিঃ
- (৬) এবি ব্যাংক
- (৭) মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
- (৮) প্রিমিয়ার ব্যাংক
- (৯) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- (১০) সিটি ব্যাংক লিমিটেড
- (১১) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ
- (১২) স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক
- (১৩) ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ
- (১৪) ব্যাংক এশিয়া
- (১৫) ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ
- (১৬) সোনালী ব্যাংক লিঃ
- (১৭) জনতা ব্যাংক লিঃ
- (১৮) অগ্রণী ব্যাংক লিঃ
- (১৯) পূবালী ব্যাংক লিঃ
- (২০) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রভৃতি।
লেনদেনে সততা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
ব্যাংকের প্রত্যাশা— উদ্যোক্তা লেনদেনে সৎ হবেন। কেবল তাহলেই ব্যাংক আশা করতে পারে, ওই ব্যক্তি ঋণ ফেরত দেবেন। সততা যাচাই করা কঠিন। তবে যতক্ষ্ণ পর্যন্ত তার অসততার প্রমাণ পাওয়া না যায়, ততক্ষণ ওই ব্যক্তিকে সৎ বলা যায়। সাধারণত ব্যাংক সিআইবি রিপোর্টের মাধ্যমে কারো ক্রেডিট রেকর্ড বা ঋণ আচরণ জানতে পারে। কিন্তু এসএমই উদ্যোক্তাদের অনেকেই ব্যাংক থেকে আগে ঋণ নেননি। তাই তাদের সিআইবি রিপোর্ট পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে বিকল্প মাপকাঠি যেমন বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি বা টেলিফোন বিল নিয়মিত শোধ করা হয় কিনা, তা দেখে। যে ব্যক্তি বাড়িভাড়া শোধ করেন না, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করেন না ব্যাংকঋণ শোধ করার তাগিদ তার থাকবে না।
ক্রেডিট: পাবনা উদ্যোক্তা