বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক । ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল?

নিরাপদ ব্যাংক বলতে বুঝায় যে ব্যাংক আপনার টাকা নিরাপদে রাখবে এবং চাহিবা মাত্র তা ফেরত প্রদান করতে পারবে – বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক

দেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ কত? – বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ছয়গুণের বেশি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের আকার প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা থাকলেও এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশের আদালতগুলোতেই খেলাপি ঋণের প্রায় পৌনে এক লাখ মামলা ঝুলে রয়েছে , যাতে এক লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রয়েছে। সূত্র বিবিসি

শীর্ষ খেলাপী ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক কোনগুলো? বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকে। এ ব্যাংকটিতে ৬ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। ছয় মাস আগে, ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের অঙ্ক ছিল ১২ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৬৩ কোটি টাকায়। অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ২ হাজার ৮০২ কোটি টাকা বেড়ে জুন প্রান্তিক শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকায়। রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ১৯২ কোটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। সোনালী ব্যাংকের ৮৯৩ কোটি বেড়ে ১২ হাজার ১২৬ কোটি টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকা বেড়ে জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৪৯ কোটি টাকায়। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে নাজুক অবস্থায় আছে ন্যাশনাল ব্যাংক। ৬ মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। ছয় মাস আগে ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এ ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৫ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। ছয় মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে এ ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। ওয়ান ব্যাংকে ৬ মাসে ৮৮৩ কোটি টাকা বেড়ে জুন শেষে খেলাপির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, ৫৭২ কোটি টাকা বেড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১১ কোটি টাকায়। আইএফআইসি ব্যাংকে ৫১৪ কোটি বেড়ে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকায়, পূবালী ব্যাংকে ৪৭৯ কোটি বেড়ে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা।

কোন ব্যাংকে আমানত সংকট রয়েছে? বাংলাদেশের যে সমস্ত ব্যাংক বর্তমান সময়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, সেই সমস্ত ব্যাংকের নাম হল- সোনালী, জনতা, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করে তারল্য সংকট কিছুটা হলেও কমিয়ে এনেছে।

ফিক্স ডিপোজিটের জন্য কোন ব্যাংক ভাল? গত এক যুগের হিসাব যদি আমরা টানি তবে দেখা যাবে জমির দাম ৫ গুন বা ২১ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে ২.৫% বৃদ্ধি পাবে এবং স্বর্ণের ক্ষেত্রে ৪গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে ঋণের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা বেধে দেওয়া ফলে ব্যাংকে যদি আপনি এফডিআর করেন সর্বোচ্চ ৫-৬% সুদ বা মুনাফা দিবে যা মূল্যস্ফিতির নিচে পড়ে যাবে। ব্যাংকে টাকা রাখলে মুনাফার উপর ১৫% আয়কর কেটে যা দিবে বছর শেষে ১ লক্ষ টাকার মান কমে যাবে। তাই ১। জমি ২। স্বর্ণ ৩। সঞ্চয়পত্র ৪। ব্যাংক এফডিঅর। Sonali Bank DPS । ১০ বছর মেয়াদী সোনালী ব্যাংক ডিপিএস ২০২৩

TOP Remittance Recipient Bank In Bangladesh / প্রবাসীরা যে ব্যাংকগুলোর উপর আস্থা রেখে রেমিটেন্স পাঠায়

প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলোতে বেশি রেমিটেন্স পাঠানো হয় এবং এসব ব্যাংক সরকারি ব্যাংক হিসেবে বেশি পরিচিত থাকায় জনগনের আস্থা ভাজন হয়ে থাকে।

Caption: Check list from Bangladesh Bank

টপ ২০ ঋণ খেলাপী ব্যাংক তালিকায় নাম নেই যাদের । অপেক্ষাকৃত কম খেলাপী ঋণ প্রদান করছে

  1. Dutch-Bangla Bank Limited
  2. BRAC Bank Limited
  3. United Commercial Bank Limited
  4. Prime Bank Limited
  5. Dhaka Bank Limited
  6. Standard Chartered Bank Bangladesh
  7. Bank Asia Limited

কম ঋণ খেলাপী ঋণপ্রদানকারী ব্যাংক বা কম ঝুকিঁযুক্ত ব্যাংক কোনগুলো?

ডিসেম্বর-জুন সময়ে ৩৯৭ কোটি টাকা বেড়ে খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৫৩ কোটিতে দাঁড়িয়েছে ইউসিবি ব্যাংকে, ৩৪৬ কোটি বেড়ে ৬০০ কোটি দাঁড়িয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকে, ৩৩১ কোটি টাকা বেড়ে ১ হাজার ৯৮৮ কোটিতে দাঁড়িয়েছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের, ৩১৫ কোটি টাকা বেড়ে ৪ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এবি ব্যাংকের, ২৯২ কোটি বেড়ে ১ হাজার ৩২২ কোটিতে দাঁড়িয়েছে উত্তরা ব্যাংকের, ২৮৫ কোটি বেড়ে ৩ হাজার ৯৫০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে পদ্মা ব্যাংকের, ২৪৪ কোটি টাকা বেড়ে এক হাজার ১৮২ কোটিতে দাঁড়িয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের, ২৭৭ কোটি টাকা বেড়ে ৯৩৬ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে এনসিসি ব্যাংকের এবং ২৬৩ কোটি টাকা বেড়ে খেলাপি ঋণ ৯৬২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের। সূত্র সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *