ICB তে বিনিয়োগ করার নিয়ম ২০২৩ । আইসিবি কিভাবে আয় করে থাকে?

আইসিবি ইউনিট কিনে আপনি নিরাপদ বিনিয়োগ করতে পারেন-সঞ্চয়পত্রের পর আইসিবি ইউনিট ও বন্ড নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ বিনিয়োগ – ICB তে বিনিয়োগ করার নিয়ম ২০২৩

আইসিবি কি? দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালায় দ্রুত কার্যকরী পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ১৯৭৬ সালের ১ অক্টোবর তারিখে “দি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬” (১৯৭৬ সালের ৪০ নং অধ্যাদেশ) বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের দ্রুত শিল্পায়নে এবং সুসংহত ও সক্রিয় পুঁজিবাজার, বিশেষ করে সিকিউরিটিজ বাজার উন্নয়নে আইসিবির প্রতিষ্ঠা সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কোম্পানিসমূহের মূলধন স্বল্পতা পূরণে আইসিবি প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার বৃদ্ধি ও জাতীয় নীতিমালার আলোকে স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রয়াসে আইসিবি অবিচ্ছেদ্য এবং নির্ভরযোগ্য ভূমিকা রাখে। দি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সালের ২৪ নং আইন) বলে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন ও পরিচালনার মাধ্যমে আইসিবির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার কৌশল ও নীতিতে সংস্কার সাধিত হয়েছে। বর্তমানে কর্পোরেশন “ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ আইন, ২০১৪” অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

আইসিবি কেন গঠন করা হয়েছে? বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও উৎসাহ প্রদান লক্ষ্যের গঠন করা হয়। এছাড়া পুঁজিবাজার উন্নয়ন, সঞ্চয় সংগ্রহ এবং প্রাসঙ্গিক সকল প্রকার আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আইসিবি গঠন করা হয়। মেইনলি সাধারণ মানুষ ব্রাঞ্চ ভিজিট করে বিনিয়োগ করতে পারেন ব্যাংক একাউন্ট লিংক করে।

ব্যবসায় কিভাবে নীতি সহায়তা করে? শিল্প, বাণিজ্য, আমানতকারী, বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থের প্রতি দৃষ্টি রেখে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কারিগরি, আর্থিক ও বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময় প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এককভাবে অথবা ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে প্রকল্পে ইক্যুইটি ও ঋণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং তাঁদের উৎসাহ প্রদান করা হয়। বিনিয়োগ বৈচিত্র্যকরণ এবং সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি সঞ্চয়কারীদের উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। কৃষিভিত্তিক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

বার্ষিক বোনাস বা মুনাফা কেমন পাওয়া যায়? মুনাফা মূলত আয়ের উপর নির্ভর করে থাকে তবে বোনাস শেয়ার ৫% প্রদান করা হয়েছে গত অর্থ বছরেও। নভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ঘোষিত ৫% বোনাস শেয়ার সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে ১৬.০১.২০২৩ তারিখে ক্রেডিট করা হয়েছে। এছাড়া আইসিবি ঘোষিত ৫% নগদ লভ্যাংশ এবং ফ্র্যাকশনাল শেয়ারের বিক্রয়লব্ধ অর্থ পরবর্তীতে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এর মাধ্যমে আইসিবি’র শেয়ারহোল্ডারগণের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে ক্রেডিট করা হবে এবং কাগজের শেয়ারহোল্ডারগণের লভ্যাংশপত্র (ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট) ডাক বিভাগের রেজিস্টার এ/ডি-এর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারগণের ঠিকানায় প্রেরণ করা হবে। সূত্র দেখুন

আইসিবি ইউনিট ফান্ড কি? আইসিবি ইউনিট ফান্ড দেশের প্রথম বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এই স্কিমটি ১৯৮১ সালের এপ্রিলে চালু হয়েছিল, যার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সঞ্চয়কারীরা তাদের সঞ্চয় ভারসাম্যপূর্ণ এবং তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের সুযোগ পান। আইসিবি এখন পর্যন্ত প্রতি বছর ইউনিটগুলিতে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই ফান্ড ইউনিট প্রতি ৪১.০০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ইউনিট ফান্ড বিনিয়োগকারীরা আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য করের সুবিধা ভোগ করেন।

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডিং অবস্থান / বর্তমানে ১৮৭৬ কোটি টাকা পেইড আপ ও অনুমোদিত ক্যাপিটাল রয়েছে

 শেয়ার বিভিন্ন ইউনিটে বিভক্ত করে বিক্রি করে থাকে। সাধারণ জনগন ১.৫৯% শেয়ার ক্রয় করেছে।

Caption: source of information

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন ইন বাংলাদেশ । আইসিবি’র কার্যক্রম কি কি?

  1. প্লেসমেন্ট ও ইক্যুইটি পার্টিসিপেশনসহ সরাসরি শেয়ার ও ডিবেঞ্চার ক্রয় ও বিক্রয় করা হয়।
  2. মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইউনিট ফান্ডের প্লেসমেন্ট-এ অংশগ্রহণ করে থাকে।
  3. এককভাবে এবং সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে লিজ অর্থায়ন করা হয়।
  4. বিনিয়োগ হিসাব ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করা হয়।
  5. ইউনিট ফান্ড ব্যবস্থাপনা করা হয়।
  6. পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা এবং সিকিউরিটিজ ক্রয় বিক্রয়ে অংশগ্রহণ করে থাকে।
  7. আইসিবি ও এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেটের বিপরীতে অগ্রিম প্রদান করা হয়।
  8. ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করা হয়।
  9. ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হয়।
  10. যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির অর্থায়নে অংশগ্রহণ করা হয়।
  11. বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান করা হয়।
  12. সরকারের পুঁজি প্রত্যাহার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা হয়।
  13. বাজার চাহিদা উপযোগী নতুন ব্যবসা উদ্ভাবন কার্যক্রমে সাহায্য করা হয়।
  14. পুঁজিবাজার সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে সহায়তা করা হয়।
  15. ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অর্থায়ন করা হয়।
  16. মার্জার, এক্যুইজিশন এবং অ্যাসেট পুনর্গঠন কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করা হয়।
  17. ইক্যুইটি এন্ড অন্ট্রাপ্র্যানারশিপ ফান্ড (ইইএফ), অন্ট্রাপ্র্যানারশিপ সাপোর্ট ফান্ড (ইএসএফ) এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ তহবিল ব্যবস্থাপনা করা হয়।
  18. হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা হয়।
  19. রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অফলোড প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে থাকে।

আইসিবি কি ঋণ প্রদান করে থাকে?

জমি কেনা, বাড়ি তৈরি বা বাড়ি সংস্কারের জন্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কর্মচারীরা ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। ঋণ পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে আইসিবিতে স্থায়ী চাকরি থাকতে হবে। অর্থাৎ যোগ দেওয়ার পর অন্তত তিন বছর পার হতে হবে। ঋণের বিপরীতে সুদ দিতে হবে ব্যাংক হারে। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যাংকগুলোকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির শেয়ার কিনেও আপনি আইসিবি’র শেয়ার গ্রাহক হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *