সরকারি ট্রেজারি বন্ড সুদের হার ২০২৪ । ট্রেজারি বন্ড কোন ব্যাংক বিক্রি করে?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ নিবাসী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ-এর তহবিল লাভজনক উপায়ে বিনিয়োগের জন্য ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন মেয়াদী ট্রেজারী বিল এবং ৫, ১০, ১৫ এবং ২০ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ গভর্ণমেন্ট ট্রেজারী বন্ড (BGTB) নিলামের মাধ্যমে ইস্যু করছে – বাংলাদেশ গভর্ণমেন্ট ট্রেজারী বিল ও বন্ড ২০২৪

ট্রেজারি বন্ড কোথায় কিনতে হয়? – বাংলাদেশ নিবাসী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান যেমন-ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানী, কর্পোরেট বডি, প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন ফান্ড ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রেজারি বন্ড কিনতে পারে। অনিবাসী বাংলাদেশী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান যাদের বাংলাদেশের কোন ব্যাংকে Non – Resident Foreign Currency Account আছে তারাও কিনতে পারে।  সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর সকল কর্পোরেট শাখায় এটি পাওয়া যায়। যে সকল জেলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কর্পোরেট শাখা নেই সে সকল জেলার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান শাখায় পাবেন।

সরকারি বিল ও বন্ড কেনা নিয়ম কি? ১.০০ লক্ষ্ টাকা এবং ১.০০ লক্ষ টাকার গুনিতক অঙ্কে ক্রয় করা যাবে।প্রাইমারী ইস্যু বন্ড ক্রয়ের জন্য ক্রেতাকে মনোনীত শাখায় চলতি হিসাব খুলতে হবে। উক্ত চলতি হিসাবে ক্রেতার আবেদন অনুযায়ী পর্যাপ্ত স্থিতি থাকতে হবে যা লিয়েন মার্ক করা থাকবে। কূপন হার উল্লেখ করে ১.০০ টাকার গুনিতক অঙ্কের অভিহিত মূল্যে মনোনীত শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে ক্রেতাকে আবেদন করতে হবে। ক্রেতার প্রস্তাবিত কূপন হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট গ্রহনযোগ্য হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেতার অনুকূলে বিল/বন্ড ইস্যু করবে।বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ক্রেতার অনুকূলে বিল/বন্ড ইস্যু করার পর বিল/বন্ডের টাকা সংশ্লিষ্ট শাখা ডেবিট টিআরএ-এর মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়ের ট্রেজারী ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে প্রেরণ করবে।

সেকেন্ডারী ইস্যু কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেকেন্ডারী মার্কেট থেকেও বিল/বন্ড ক্রয় করতে পারবে। এক্ষেত্রে মনোনীত শাখাকে বিল/বন্ডের মূল্যের সমপরিমান অঙ্কের চেক/ডেবিট টিআরএ প্রধান কার্যালয়ের ট্রেজারী ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে প্রেরণ করতে হবে। মনোনী শাখাকে সংশ্লিষ্ট ক্রেতার অনুকূলে একটি সাবসিডিয়ারী জেনারেল লেজার(SGL) খুলতে হবে এবং ঐ লেজারে এন্ট্রি দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্তির পর ষান্মাসিক কুপন/মুনাফা সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেবিট টিআরএ-এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। অর্থ আইন ২০০৭ এ বর্ণিত বিধি অনুযায়ী বিল/বন্ডের জন্য প্রদেয় মুনাফা/সুদের উপর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আয়কর কর্তনযোগ্য হবে। ক্রয়/বিক্রয় চুক্তির কপি বিল/বন্ডের সার্টিফিকেট হিসেবে পরিগণিত হবে।

ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ড এর মধ্যে পার্থক্য । ট্রেজারি বন্ড সুদের হার ২০২৪

বিনিয়োগকারীদের সঞ্চয়ের উপকরণ হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে বেশ কিছু সরকারি বন্ড। এগুলোকে ট্রেজারি বন্ড বা ট্রেজারি বিলও বলা হয়। এসব বিল ও বন্ডের বিপরীতে রয়েছে আকর্ষণীয় মুনাফা। এগুলোতে বিনিয়োগ করে সঞ্চয়কারীরা যেমন ভালো মুনাফা পেতে পারেন, তেমনি বিনিয়োগও নিরাপদ। কিন্তু এগুলোর বিনিয়োগ প্রক্রিয়া একটু জটিল বলে এবং প্রচার নেই বলে বিনিয়োগকারীদের নজরে এগুলো নেই।

Treasury bill/bond auctions

Treasury bill/bond auctions

সরকারি বিল ও বন্ডের সুবিধা ২০২৪ । ঠিক কি কারণে ট্রেজারি বন্ড কিনবেন?

  1. সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে আকর্ষণীয় (মেয়াদ ভেদে বিলের ক্ষেত্রে ২.৩১% – ৪.৬১% এবং বন্ডের ক্ষেত্রে ৭.৮০% – ৯.১০%) মুনাফা প্রদান করা হবে।
  2. প্রত্যেক নিলামে এই মুনাফা পরিবর্তনশীল যা অন্য কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না।
  3. এ বিল ও বন্ড গ্যারান্টিযুক্ত বিধায় এ খাতে বিনিয়োগ সম্পূর্ন ঝুকিঁমুক্ত থাকে।
  4. বিলের মেয়াদকাল ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন এবং বন্ডের মেয়াদকাল ৫, ১০, ১৫ এবং ২০ বছর বিধায় বিনিয়োগকারী সুবিধাজনক মেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারবেন অর্থাৎ দীর্ঘ কালের জন্যও বিনিয়োগ করা যায়।
  5. ক্রেতা সরাসরি সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠেয় নিলামে (প্রাইমারী মার্কেটে) অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
  6. বিলে বিনিয়োগ স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় মেয়াদান্তে মুনাফা ও আসল একসাথে ফেরৎ পাওয়া যাবে।
  7. সরকারি বন্ডের মুনাফা ইস্যুর তারিখ হতে ছয় মাস অন্তর অন্তর উত্তোলনযোগ্য বা উঠাতে পারবেন।
  8. অর্জিত মুনাফা এবং পুনঃবিক্রয়কৃত অর্থ/মেয়াদ পূর্তির পর আসল বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রত্যাবাসনযোগ্য বা পরিশোধ করা হয়।

সরকারি বিল ও বিন্ড নগদায়ন বা ভাঙ্গানো বা বিক্রয় পদ্ধতি কি?

সরকারি বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে বিল/বন্ডের আসল এবং সুদ যথাসময়ে প্রধান কার্যালয়ের ট্রেজারী ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন থেকে সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরণ করা হবে। বাংলাদেশ নিবাসী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ মেয়াদপূর্তির পূর্বে যে কোন সময় এ বিল/বন্ড বিক্রয় করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট শাখায়/প্রাইমারী ডিলারের নিকট অথবা বাংলাদেশ নিবাসী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান যেমন- ব্যাংক, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানী, কর্পোরেট বডি, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন ফান্ড ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এ বিল ও বন্ড বিক্রয় করা যাবে। অনিবাসী বাংলাদেশী ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কোন ব্যাংকে Non-Resident Foreign Currency Account আছে এমন অনিবাসী ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট মেয়াদপূর্তির পূর্বে যে কোন সময় এ বিল/বন্ড বিক্রয় করতে পারবে। তবে ক্রয়ের ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ নিবাসীর নিকট বিক্রয় করতে পারবে না।

বিভিন্ন আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব উত্তরা ব্যাংকের কোষাগারের ওপর অর্পিত। উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি এক্সপোজারের জন্য আর্থিক কার্যকলাপের উপর একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে এবং সমস্ত অন্তর্নিহিত আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য। ট্রেজারি যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *