ডিপিএস নাকি পেনশন স্কিম । মাত্র ১০০০ টাকা চাঁদায় ৩৪৪৬৫ টাকা মাসিক পেনশন আজীবন

ডিপিএস ভাঙ্গাতে গেলে খুব কম সুদই পাওয়া যায়-পেনশন স্ক্রীম সামাজিক নিরাপত্তার অধীনে স্বামী স্ত্রী তাদের নিজেদের জীবন সুরক্ষিত করতে পারেন  – ডিপিএস নাকি পেনশন স্কিম ২০২৩

কেন পেনশন স্কিমই বেস্ট? –সাধারণত ১০০০ টাকা চাঁদা জমা দিলে আপনি ২০ বছর পর মাত্র ২৪০,০০০ টাকা জমা করবেন। যা খুবই সামান্য কিন্তু আপনি যদি বিশ বছর পেনশন স্কিমে চাঁদা জমা করেন তবে আপনি সুরক্ষা স্কিমে ৪৯২৭ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন। যদি মেয়াদ পূর্ণ অর্থাৎ আপনার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই ভেঙ্গে ফেলতে চান তবে ৮-৯% হারে মুনাফা সহ ফেরত পাবেন যা কোন ডিপিএস হতে পাবেন না। অন্যদিকে পেনশন স্কিম আজীবন বা আমৃতু পেনশন এবং পরবর্তী জেনারেশন বা স্বামী স্ত্রীর আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে।

পেনশন স্কিমে কত টাকা জমা দিলে কত টাকা পেনশন পাওয়া যাবে? কোন চাঁদাদাতা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে ২০ বছর চাঁদা প্রদান করলে অবসরের পর তিনি প্রতি মাসে সম্ভাব্য ৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। কোন চাঁদাদাতা প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে ২০ বছর চাঁদা প্রদান করলে অবসরের পর তিনি প্রতি মাসে সম্ভাব্য ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। কোন চাঁদাদাতা প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে ২০ বছর চাঁদা প্রদান করলে প্রতি মাসে সম্ভাব্য ২৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন । সমতা স্কিমের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে চাঁদার পরিমাণ ১০০০ টাকা হলে চাঁদা দাতা ৫০০ টাকা এবং সরকার ৫০০ টাকা প্রদান করবেন। ২০ বছর চাঁদা প্রদান করলে প্রতি মাসে সম্ভাব্য ৫০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদার হার এবং স্কিম পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।

নমিনিও কি আজীবন পেনশন পাবেন? না। তবে মূল পেনশনারের মৃত্যুর পর সমুদয় টাকা উত্তোলনও করে ফেলতে পারেন অথবা ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত চাঁদা চালিয়ে যেতে পারেন। পেনশনধারীরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন–সুবিধা ভোগ করবেন। নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি বাকি সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।

অ্যাপস এর মাধ্যমে ঘরে বসে মাসিক চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে / যে কোন ব্যাংক, কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে মাসিক বা বাৎসরিক ভিত্তিতে চাঁদা জমা করা যাবে।

পেনশন কর্মসূচিতে জমা করা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে নিবন্ধিত চাঁদা দানকারী মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। তবে ১০ বছর পূর্ণ হলে নমিনি পেনশন পেতে শুরু করবেন।

Caption: Pension Scheme 2023

বেসরকারি পেনশনের সুবিধা । যে সকল কারণে ডিপিএস থেকে পেনশন স্কিম বেশি সুবিধাজনক

  1. অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন।
  2. ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।
  3. সুবিধাভোগীরা বছরে ন্যূনতম বার্ষিক জমা নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় তাঁর হিসাব সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে হিসাব সচল করতে হবে।
  4. সুবিধাভোগীরা আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে চাঁদা হিসেবে বাড়তি অর্থ (সর্বনিম্ন ধাপের অতিরিক্ত যেকোনো অঙ্ক) জমা করতে পারবেন অর্থাৎ চাঁদার হার হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
  5. পেনশনধারীরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন–সুবিধা ভোগ করবেন।
  6. নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি বাকি সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।
  7. পেনশন কর্মসূচিতে জমা করা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।
  8. কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে নিবন্ধিত চাঁদা দানকারী মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।
  9. পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে।
  10. এ ব্যবস্থা স্থানান্তরযোগ্য ও সহজগম্য অর্থাৎ কর্মী চাকরি পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তন করলেও তার অবসর হিসাবের স্থিতি, চাঁদা প্রদান ও অবসরসুবিধা অব্যাহত থাকবে।
  11. নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পেনশন কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারে।

পেনশন স্ক্রীমের বিপরীতে কি ঋণ নেয়া যাবে?

হ্যাঁ যাবে। পেনশন কর্মসূচিতে জমা করা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। চাইলে আর্থিক অনটনের কারণে যে কোন সময় পেনশন স্কিম ভেঙ্গে ফেলা যাবে।  ঋণের বিপরীতে সুদের হার জমাকৃত সুদের হারের চেয়ে কম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *