ব্যাংক নমিনি আইন ২০২৪ । স্ত্রী- স্বামীকে নমিনি করেন না কেন?

ব্যাংক একাউন্টের নমিনী করার ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর একাউন্টের নমিনি হবেন এটি একটি প্রচলিত এবং বহুল সমাদৃত বিষয়- তবে স্ত্রী স্বামীকে নমিনি করার ক্ষেত্রে বেশ বিপত্তি দেখা যায়–ব্যাংক নমিনি আইন ২০২৪

ব্যাংকারদের বক্তব্য কি?– ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের 8 বছরে দেখলাম “যত বিবাহিত মেয়ে একাউন্ট ওপেন করতে আসে বা ডিপিএস, সঞ্চয় পত্র কিনতে আসে ৯০% মেয়ে বা মহিলা তার স্বামীকে নমিনি দিতে চায় না, নমিনী দেয় তার মা বাবা অথবা ভাই বোনকে কিন্তু বিবাহিত পূরুষদের ৯৫% ই স্ত্রীকে নমিনি দিতে চায়”। তার মধ্যে অনেক প্রায় ২০% আসে তার সম্পূর্ণ আয় স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রাখে কিন্তু ২% স্ত্রী পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ যে নিজের ইনকাম স্বামীর নামে রাখা।

টাকা পয়সার ব্যাপারে বউরা কি স্বামীদের বিশ্বাস করে না? বউরা টাকা জমায় কিন্তু স্বামীর কাছে টা গোপন রাখে।। তাদের ভবিষ্যতের জন্যই বউ এটা লুকায়, বাচ্চারা বড় হলে যেন সেই টাকা কাজে লাগাতে পারে। নরমালি পুরুষরা তেমন টাকা জমাতে পারেনা, সংসারের চাপেই তারা টাকা জমানোর সুযোগ পায়না। স্বামী যদি জানে যে স্ত্রীর কাছে এত টাকা আছে তখন ম্যাক্সিমাম স্বামীই টাকা জমাতে চায়না। তখন যা ইনকাম হয় সব সংরারের জন্য খরচ করে। তাই বউ স্বামীর কাছে এটা লুকায়। কিন্তু স্বামী বিপদে পড়লে বা সংসারের প্রয়োজনে বউ সেই টাকাই স্বামীর হাতে তুলে দেয়। আসলে বিষয় টা নেগেটিভ নয়। আমার নিজের বোন ই এমন করে। আর স্বামী নমিনি বউ কে করে কারণ স্বামীর মাথায় এটা থাকে যে আমি মারা গেলে যেন আমার বউ বাচ্চার কোন সমস্যা না হয়। দুজনের চিন্তা দুই রকম থাকে।

কেন স্বামীকে নমিনি দেয় না? স্ত্রী মারা গেলে স্বামী সাথে সাথে আরেকটা বিয়ে করে নতুন সংসার নতুন ছেলে মেয়ে নিয়ে পড়ে থাকবে। তার বাচ্চাদের কোনো খবর থাকবেনা। কারন মা না থাকলে বাপ হয়ে যা তালোই। সমাজের চারপাশে এমনই দেখতেছি আমরা। তাই ভরসা করতে পারিনা। কিন্তু স্বামী মারা গেলে স্ত্রী তার সন্তানদের বুকে আগলে রাখে কিন্তু কিছু তো খারাপ আছেই, তারা তো জীবিত থাকতেই স্বামী সন্তানকে ফেলে চলে যায়।

ব্যাংক নমিনি নাকি উত্তরাধিকারীগণ টাকা পাবেন? / বিস্তারিত তথ্য দেখতে পোস্টটি ভাল করে পড়ুন

নমিনির ভূমিকা কি? নমিনিকে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ট্রাস্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মানে হল যে নমিনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন, তবে তা উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, নমিনি টাকার মালিক হতে পারেন। এটি সাধারণত তখনই হয় যখন মৃত ব্যক্তি তাদের উইলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে নমিনি টাকা পাবে।

ব্যাংক নমিনি আইন ২০২৪ । স্ত্রী স্বামীকে নমিনি করেন না কেন?

Caption: Nominee Rules

সরকারি ঋণ আইন । সরকারি ঋণ আইন, ২০২২ ( ২০২২ সনের ১৭ নং আইন )ধারক কর্তৃক নমিনি মনোনয়ন প্রদান

  • ১৭। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,- (ক) সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ধারক উল্লিখিত সিকিউরিটি বা সার্টিফিকেটের প্রাপ্য অর্থ তাহার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার পক্ষে এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে; এবং (খ) ধারকের মৃত্যুর পর আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নমিনি পরিবর্তন বা বাতিল না হইলে, ধারকের মনোনীত নমিনিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বা, ক্ষেত্রমত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বাবদ পাওনা অর্থ প্রদান করিতে পারিবে।
  • (২) ধারক কর্তৃক প্রদত্ত একক নমিনি বা একাধিক নমিনির ক্ষেত্রে সকল নমিনি মৃত্যুবরণ করিলে উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত নমিনির মনোনয়ন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
  • (৩) সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর করিলে, হস্তান্তরের পূর্বে প্রদত্ত নমিনির মনোনয়ন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি সিকিউরিটি কোনো আর্থিক লেনদেনের জন্য বন্ধক বা জামানত হিসাবে প্রদান করিলে, উক্তরূপ বন্ধক বা জামানত নমিনি বাতিলকে প্রভাবিত করিবে না, তবে বন্ধক বা জামানত গ্রহীতার অধিকারের সহিত নমিনির অধিকার সম্পর্কযুক্ত হইবে।
  • (৪) নমিনি নাবালক হইলে, ধারকের মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নমিনির পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয়স্কীমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের প্রাপ্য অর্থ গ্রহণ বা উত্তোলনের জন্য ধারক কর্তৃক নমিনি প্রদানকালে যে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ করা আইনসম্মত ও যৌক্তিক হইবে এবং উক্তরূপ নিয়োগের ক্ষেত্রে ধারকের মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি নাবালকের প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য হইবে।

ব্যাংক নমিনি কি টাকা পায়?

ব্যাংক নমিনি টাকা পাবে কিনা তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর আইনি অবস্থা-২০১৪ সালের আগে এই সময়, নমিনি সাধারণত মৃত ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা সমস্ত টাকা পেতেন। ২০১৪ সালের পর এখন, নমিনি টাকা উত্তোলনের অধিকারী হলেও, উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তা মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। উত্তরাধিকারীদের দাবি উত্তরাধিকারীরা উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তাদের অংশ দাবি করতে পারেন। যদি নমিনি টাকা নিজের কাছে রাখতে চায়, উত্তরাধিকারীরা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। হাইকোর্টের রায় ২০২৩ সালের এপ্রিলে, বাংলাদেশ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে নমিনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন, তবে তা উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। ব্যাংক নমিনি টাকা পাবে কিনা তা নির্ভর করে আইনি অবস্থা, নমিনির ভূমিকা এবং উত্তরাধিকারীদের দাবির উপর। বর্তমানে, নমিনি টাকা উত্তোলনের অধিকারী হলেও, তা উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।

https://bdservicerules.info/%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%8d/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *